নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তার জলবদ্ধতা নিরসনে সোনারগাঁয়ের সংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মানের প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন।উপজেলা জনস্বাস্থ্য এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবেন। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা।
আজ (৬ নভেম্বর) বুধবার বিকালে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এক জরুরী মিটিংয়ে এ কাজের অনুমোদন দেন।
জানাগেছে, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও খালবিল, জলাশয় বালু দিয়ে ভরাট করার কারনে গত কয়েক বছর ধরে সোনারগাঁও পৌরসভায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও শহীদ মজনু সড়কে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অতি বৃষ্টিতে পানি জমে রাস্তাঘাট ডুবে যান চলাচল ও পথচারীদের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়ে পৌরবাসী। এ নিয়েে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সড়ক ও জনপদের পক্ষ থেকে শহীদ মজনু সড়কটি প্রতিবছর সংস্কার করা হলেও ভাড়ি যানবাহনের কারনে পুরনায় নস্ট হয়ে জলবদ্ধতার সৃস্টি হয়। এছাড়া এসব সড়কে পানি নিস্কাশনের কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ও সড়কের দু’পাশে বাড়ীঘর নির্মান করার কারনে বৃস্টির পানি কোথাও নামতে না পারার কারনে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকালে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এক জরুরী সভায় লিয়াকত হোসেন খোকা। সে সভায় পৌরসভার শহীদ মজনু সড়ক ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের গুরুত্বপুর্ন ও জনবহুল এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় সব মিলিয়ে ১১ কিলোমিটার রাস্তায় ড্রেন নির্মানের নির্দেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী আলী হায়দার, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আবু নাইম ইকবাল, জাতীয়পার্টির নেতা শাহীন মিয়া প্রমূখ।
এ ব্যাপারে লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, গত কয়েকদিন আগে সোনারগাঁও পৌরসভাকে আধুনিকরন কারার উদ্দেশ্যে গ্রাম ও ওয়ার্ড ভিত্তিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় পৌরবাসীর দূর্ভোগ লাগবের লক্ষ্যে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপুর্ন রাস্তাগুলোতে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ কিলোমিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করি ড্রেজের ব্যবস্থা সুম্পূর্ন করতে পারলে পৌরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।